বাগেরহাটে শিশুদের সংগৃহীত প্রত্নবস্তু ঠাঁই পেল জাদুঘরে

প্রকাশিত: ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯

বাগেরহাটে শিশুদের সংগৃহীত শতাধিক প্রত্নবস্তু ঠাঁই পেল জাদুঘরে। ২৫ শিশু-কিশোরের হাত থেকে এসব প্রত্নবস্তু গ্রহণ করেন যাদুঘরের কাস্টোডিয়ান গোলাম ফেরদাউস। এসব শিশুরা বাগেরহাটের রনবিজয়পুর বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর সংগঠনের সদস্য। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবসে বাগেরহাট যাদুঘরে প্রত্নবস্তুগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।

প্রত্মবস্তু হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান বাচ্চু, ষাটগম্বুজ মসজিদের ইমাম মোঃ হেলাল উদ্দিন, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর টুটুল, সাংবাদিক মোল্লা মাসুদুল হক, এইচএম মইনুল ইসলাম, সংগঠনের সভাপতি জুম্মান শেখ, সাধারণ সম্পাদক ইনজামামুল কবির, শিক্ষার্থী আরশাদ হোসেন রাফিসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

কোমলমতি শিক্ষার্থীরা খানজাহান আমলের মাটির বদনা, হাড়ি, জলাধার, পিতলের তৈজসপত্র, কালির দোয়াত, মাটির গ্লাস, কাঠের নৌকা, মাটির চুলাসহ শতাধিক প্রত্নবস্তু হস্তান্তর করেন।

শিশু-কিশোরদের এই সংগঠনের বেশিরভাগ সদস্যের বাড়ি ষাটগম্বুজের কাছে রনবিজয়পুর গ্রামে। এরা সবাই মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থী। নিজেদের ইতিহাস-ঐতিহ্য ধরে রাখতে ও মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য ষাটগম্বুজ, খানজাহান আলী (রহঃ) এর মাজার, তার বসত বাড়ি, ঠাকুর দিঘি, ঘোড়া দিঘিসহ বিভিন্ন স্থান থেকে এসব প্রত্নবস্তু সংগ্রহের পর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে সযত্নে সংরক্ষণ করেছিল শিক্ষার্থীরা।

রনবিজয়পুর বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর সংগঠণের সভাপতি জুম্মান শেখ বলেন, ‘ছোট বেলা থেকে হযরত পীর খানজাহান আলী (রহঃ) এর বিভিন্ন কৃতি ও স্থাপনার কথা শুনেছি। বইতে পড়েছি নিজের এলাকার ঐতিহ্যের কথা। নিজেদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবং পূর্ব পুরুষদের সম্মৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতি জানান দিতে আমরা সবাই মিলে বিভিন্ন জায়গা থেকে এসব প্রত্নবস্তু সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করেছি। পরে বাগেরহাট যাদুঘরের কাস্টোডিয়ান স্যারকে সংগ্রহের কথা জানাই। তার পরামর্শে আমরা সংগ্রহগুলোকে যাদুঘরে হস্তান্তর করি।’

যাদুঘরের কাস্টোডিয়ান গোলাম ফেরদাউস বলেন, ‘শিশুদের ঐতিহাসিক জ্ঞান ও প্রত্নবস্তুর উপর ভালবাসায় আমি অভিভূত হয়েছি। শিশূদের সংগ্রহকৃত শতাধিক প্রত্নবস্তুর অধিকাংশই বাগেরহাট যাদুঘরে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করা হবে।’

ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান বাচ্চু বলেন, ‘ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের শহর বাগেরহাটের পুরাকৃতি ও প্রত্নবস্তু সংরক্ষণে শিশুদের মধ্যে যে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।’

সুত্র : রাইজিংবিডি/বাগেরহাট