ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে যা করতে হবে SOHEL SOHEL TALUKDER প্রকাশিত: ৯:০৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০১৯ নিয়মকানুন মেনে গাড়ি চালানোর জন্য দরকার প্রশিক্ষণ ও কিছু দরকারি কাগজপত্র। ড্রাইভিং লাইসেন্স সঙ্গে থাকলে চালক রাস্তার ট্রাফিক সংকেতগুলো সম্পর্কে জানেন ও মানেন বলে ধরে নেয়া হয়। কারণ লাইসেন্স দেয়ার আগে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) তিনস্তরের পরীক্ষার মাধ্যমে লাইসেন্স প্রদান করে। ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রক্রিয়া: ড্রাইভিং লাইসেন্সের পূর্বশর্ত হলো লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স। গ্রাহককে প্রথমে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করতে হবে। গ্রাহককে তার স্থায়ী ঠিকানা বা বর্তমান ঠিকানা (প্রয়োজনীয় প্রমাণাদিসহ) বিআরটিএ এর যে সার্কেলের আওতাভুক্ত তাকে সেই সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। সার্কেল অফিস কর্তৃপক্ষ তাকে একটি শিক্ষানবিশ বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করবে যা দিয়ে আবেদনকারী ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবে। ২/৩ মাস প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর তাকে নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে নির্ধারিত কেন্দ্রে লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট-এ অংশগ্রহণ করতে হবে। এসময় প্রার্থীকে তার লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স (মূল কপি) ও লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কলম সাথে আনতে হবে। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য বয়স ন্যূনতম ২০ বছর এবং অপেশাদার এর জন্য ন্যূনতম ১৮ বছর হতে হবে। শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ: ড্রাইভিং লাইসেন্সের পূর্বশর্ত হলো লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স। লার্নার্স পারমিট হলো শিক্ষানবিশ চালকের অনুমতিপত্র। গাড়ি চালানো শেখার পূর্বে এই লাইসেন্সটি সংগ্রহ করতে হবে। একইসাথে মোটরসাইকেল ও হালকা যানবাহন চালানোর লাইসেন্স নিয়ে নেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। এ জন্য ফর্মের নির্ধারিত অংশে দুটি টিক চিহ্ন দিলেই হবে। লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: ১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন। ২। রেজিস্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট। ৩। ন্যাশনাল আইডি কার্ড/জন্ম সনদ/পাসপোর্ট এর সত্যায়িত ফটোকপি। ৪। নির্ধারিত ফি, ১ ক্যাটাগরি-৩৪৫/-টাকা ও ২ ক্যাটাগরি-৫১৮/-টাকা বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে (ব্যাংক এর তালিকা www.brta.gov.bd -তে পাওয়া যাবে) জমাদানের রশিদ। ৫। সদ্য তোলা ৩ কপি স্ট্যাম্প ও ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি। লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুনরায় একটি নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফি প্রদান করে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙুলের ছাপ) গ্রহণপূর্বক স্মার্ট কার্ড ইস্যু করা হয়। স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রন্টিং সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস-এর মাধ্যমে তা গ্রহণের বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়। স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: ১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন। ২। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট। ৩। ন্যাশনাল আইডি কার্ড/জন্ম সনদ/পাসপোর্ট এর সত্যায়িত ফটোকপি। ৪। নির্ধারিত ফি বিআরটিএ-এর নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ। ৫। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন। ৬। সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি। SHARES জীবনশৈলী বিষয়: 120x600 #StayHome Sale 2020