করোনা ঝুঁকির এই সময়ে দীর্ঘদিন ধরে গৃহবন্দী ক্রিকেটাররা। ঘরে থেকে ফিটনেস নিয়ে কাজ করলেও অনুশীলনে ফিরতে পারছে না কেউ। ইতিমধ্যে মুশফিকুর রহিম একা অনুশীলন করার জন্য অনুমতি চাইলেও মিরপুর রেড জোন হওয়াতে সেটি নাকচ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

এই মুহূর্তে বিসিবির প্রধান লক্ষ্য খেলোয়াড়দের সুরক্ষা। এদিকে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার করোনায় আক্রান্ত হয়ে গেছে। বাকীদের যাতে এমন সমস্যায় পড়তে না হয়, এজন্য বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছে বিসিবি। ইতিমধ্যে বিসিবি একটা অ্যাপ চালু করেছে যার মাধ্যমে খেলোয়াড়দের নিয়মিত খোঁজ খবর নেওয়া যাবে। এমনকি কারো করোনা কোনো উপসর্গ আছে কিনা এই অ্যাপের মাধ্যমে জানতে পারবে বিসিবি।

টপ-টায়ার ক্রিকেটের ৭০ জন ক্রিকেটারকে এই অ্যাপসের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে বিসিবি। মূলত জাতীয় দলের চুক্তিভুক্ত প্রত্যেক ক্রিকেটার (পুরুষ, মহিলা), এমনকি অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারদেরকেও এই অ্যাপসের মাধ্যমে নজরদারিতে রাখবে বিসিবি।

বিসিবি’র এই করোনা অ্যাপে ক্রিকেটারদের জন্য করোনা উপসর্গ সম্পর্কিত বেশ কিছু প্রশ্ন থাকবে। আর প্রতিদিন এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে হবে সব ক্রিকেটারকে। যা দেখে তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে পারবে বিসিবির মেডিকেল টিম। আর এমন তথ্য জানিয়েছে বিসিবি’র সিইও নিজামউদ্দীন চৌধুরি সুজন।

বিসিবি আগে থেকেই ক্রিকেটারদের জন্য ‘অ্যাথলেট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার’ ব্যবহার করতো। সেই অ্যাপেই এখন করোনা সম্পর্কিত প্রশ্নাদি যোগ করা হয়েছে। এই সম্প্রসারিত অংশকেই এখন কোভিড-১৯ ওয়েল বিয়িং অ্যাপ বলছে বিসিবি।

বিসিবির প্রধান নির্বাহী বলেছেন, ‘আগে থেকেই বেশ কিছু সফটওয়্যার ব্যবহার করে আসছি আমরা। এর একটি অ্যাথলেট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার। সেটিরই সম্প্রসারিত অংশ এই কোভিড-১৯ ওয়েল বিয়িং অ্যাপ। এর মাধ্যমে ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর রাখব আমরা।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘ক্রিকেটাররা নিজেদের ফোনে এই অ্যাপ ব্যবহার করবে। সেখানে একটি প্রশ্নপত্র থাকবে ওদের জন্য। ওরা এর জবাব দেবে প্রথমে। তারপর প্রতিদিন সকালে কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে নিজেদের অবস্থা ওরা জানাবে। যা করতে সর্বোচ্চ ৩০-৪০ সেকেন্ড লাগবে। আমাদের মেডিকেল টিম তাদের উত্তর দেখে কারো উপসর্গ আছে বলে মনে করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে।’