অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিনটিই সবার আগে বাজারে আসবে

SOHEL SOHEL

TALUKDER

প্রকাশিত: ৭:১১ অপরাহ্ণ, জুন ২৯, ২০২০

করোনা ভাইরাসের সংক্রম থেকে রক্ষা পেতে সারাবিশ্বে ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা চলছে । যে সকল প্রতিষ্ঠান ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণারত, তার মধ্যে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভ্যাকসিনটিই এগিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ডব্লিউএইচও। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ২০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন তৈরি শুরু করতে পারে অ্যাস্ট্রাজেনেকা । ২০২১ সালের শুরুতে বাংলাদেশ এই ভ্যাকসিন পাবে  বলে আশা করা যায়।

জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহেই এই ভ্যাকসিনের কার্যকারীতার ঘোষণা দিতে যাচ্ছে অক্সফোর্ড। বর্তমানে ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকার স্বেচ্ছাসেবিদের উপর ব্যাপকহারে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে। ৩য় ধাপের ট্রায়ালে সফলতা ঘোষণা এলেই বড় আকারে উৎপাদনে যাবে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। শুরতে তারা ২০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন উৎপাদন করবে। কোনও মুনাফা করবে না। যুক্তরাষ্ট্র আর যুক্তরাজ্যের জন্য তৈরি হবে ৪০ কোটি ডোজ। আর স্বল্প – মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য ১০০ কোটি ডোজ । সব মিলিয়ে তৈরি হবে ২০০ কোটি ডোজ ।

জাতিসংঘ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ক্যাটাগরি অনুযায়ী বাংলাদেশ স্বল্প – মধ্য আয়ের দেশ। এ কারণে ভ্যাকসিন ও জেনেরিক ড্রাগের ক্ষেত্রে কিছুটা সুবিধা পাওয়া যায়। অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন। এ কারণে শুরুতেই পেতে পারে বাংলাদেশ । অ্যাস্ট্রাজেনেকার সিইও পাস্কাল সারিওট জানিয়েছেন , শুরুতে ৪০ কোটি শট তৈরি করে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে তা বিতরণ করা হবে। ২০২১ সালের শুরুতেই বিতরণ হয়ে যাবে বাকি শটগুলো ।

ডব্লিউএইচও এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৌম্য স্বামীনাথন রয়টার্সকে বলেন , ‘ বর্তমান অবস্থান , কার্যক্রম এবং মান অনুযায়ী আমরা বলতেই পারি সবার আগে বাজারে আসতে যাচ্ছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন। ’ বর্তমানে ১৪০টি আলাদা আলাদা ভ্যাকসিন উন্নয়নের কাজ চলছে। এর ম ধ্যে ১৩টির ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছে ।