জুলাই থেকে সঞ্চয়পত্র পাওয়া যাবে অনলাইনে

প্রকাশিত: ১:৩৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৫, ২০১৯

সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে শৃঙ্খলা আনতে রাজধানীতে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে অনলাইন বিক্রি কার্যক্রম। আগামী ১ জুলাই থেকে সারা দেশে অনলাইনের মাধ্যমে এটি বিক্রি করা হবে। ওই পদক্ষেপ যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য বৃহস্পতিবার দেশে সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে নির্দেশ দিয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে জুলাই থেকে দেশজুড়ে ‘জাতীয় সঞ্চয়স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ চালু হবে। দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো এই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জুনের মধ্যে দেশের সব স্থানে জাতীয় সঞ্চয়স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করতে হবে। একইভাবে ১ জুলাই থেকে এই সিস্টেম-এর আওতাবহির্ভুতভাবে সঞ্চয়স্কিম লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ কর্তৃক কোনও সঞ্চয়স্কিম লেনদেন করা যাবে না।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, সিস্টেমটি মার্চ মাস থেকে ঢাকা মহানগরীতে চালু হয়েছে। এপ্রিল মাসের মধ্যে সব বিভাগীয় শহরে এটি চালু করতে হবে। এছাড়া জুনের মধ্যে দেশের অন্যান্য স্থানে অবস্থিত সব দফতরে চালু করতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট থেকে পাঠানো এই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ: অগ্রাধিকার কার্যক্রমসমূহের ধারাবাহিকতা রক্ষা (পিইএমএস)’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় প্রণীত ‘জাতীয় সঞ্চয়স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ চালু হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, এ সিস্টেম থেকে প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী দৈনিক বিক্রির বিবরণীর ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক ব্যাংকের হিসাব ডেবিট করে সরকারি হিসাবে ক্রেডিট করণ এবং সঞ্চয়স্কিম-এর সুদ ও আসল বিইএফটিএন এর মাধ্যমে সরাসরি গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে পাঠাতে হবে।

জানা গেছে, সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় প্রকৃত গ্রাহকদের সুবিধা দিতে সঞ্চয়পত্র বিক্রির কার্যক্রম পুরোপুরি অটোমেশন করা হচ্ছে। এর ফলে কেউ আর ৪৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবে না। এছাড়া সঞ্চয় স্কিমের সুদ ও আসল সরাসরি গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। নগদ টাকার পরিবর্তে চেকের মাধ্যমে সঞ্চয়পত্র বিক্রির টাকা গ্রহণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া আবেদন ফরমের সঙ্গে বাধ্যতামূলক টিআইএন নম্বর জমা দিতে হবে।

সুত্র : একুশে টেলিভিশন