মাতৃভাষা দিবসে ঢাকার নিরাপত্তায় ১৬ হাজার পুলিশ

প্রকাশিত: ৩:১২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯

একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীর নিরাপত্তায় ১৬ হাজার পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবে ছয় হাজার পুলিশ সদস্য।

মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। তবে শহীদ মিনার কেন্দ্রীক নিরাপত্তায় সুনির্দিষ্ট কোনও হুমকি নেই বলে জানান তিনি।

শহীদ মিনার কেন্দ্রীক নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ ঢাকা মহানগরীর অন্যান্য শহীদ মিনারগুলোতেও সুদৃঢ়, নিরবিচ্ছিন্ন ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় থাকবে। সিসিটিভির আওতায় থাকবে এ এলাকার প্রতিটি ইঞ্চি।’

কমিশনার আরও বলেন, ‘শহীদ মিনারের প্রবেশ পথে থাকবে আর্চওয়ে। আগতদের প্রত্যেককে মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি চৌকি পেরিয়ে প্রবেশ করতে হবে। যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবে ডিবি, সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ক্রাইম সিন ভ্যান। পুরো এলাকা ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে সুইপিং করা হবে।’

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার কেন্দ্রীক ছয় হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এর বাইরে ঢাকা মহানগরীজুড়ে দায়িত্ব পালন করবে ১০ হাজার পুলিশ সদস্য। পোশাকধারী পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।

কোনও সংস্থা বা কাউকে শহীদ মিনার কেন্দ্রীক কাউকে বাণিজ্যিকীকরণ কর্মকাণ্ড করতে দেওয়া হবে না। বাণিজ্যিকীকরণের উদ্দেশে কাউকে কোনও ধরনের ব্যানার ফেস্টুন ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘শহীদ মিনারের আশেপাশের এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে আগতদের তল্লাশি করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ভাসমান দোকান ও হকার উচ্ছেদ করা হবে। ২০ তারিখ সন্ধ্যা থেকে পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়া বহিরাগত কেউ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়া স্টিকার ছাড়া কোনও যানবাহন এ এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।’

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী, বিদেশি কুটনৈতিক ও ভিআইপিদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাধারণদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। তবে সাধারণ নাগরিকদের সবাইকে পলাশী হয়ে শহীদ মিনারের প্রবেশ করতে হবে। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দোয়েল চত্বর ও চানখাঁরপুল হয়ে বেরিয়ে যাবে।’

সুত্র : বাংলা ট্রিবিউন